August 28, 2025, 10:37 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
সুজানগরে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে সেলিম রেজা হাবিবের নে-তৃত্বে বি-শাল গ-ণমিছিল তাঁতিবন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিদা-য় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত দোয়ারাবাজার সীমান্তে ৬ রা-উন্ড গু-লিসহ বি-দেশি রি-ভলবার উ-দ্ধার গোদাগাড়ীতে মহিশালবাড়ী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে অভি-ভাবকদের মত-বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত শারীরিকভাবে অ-ক্ষম ব্যক্তিকে ভ্যানগাড়ি ও বিক্রয়ের জন্য মালা-মাল দিলেন ইউএনও ফয়সাল নড়াইল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পলাশ গ্রে-ফতার নড়াইলে ইয়া-বা ট্যাবলেটসহ দুইজন গ্রে-ফতার আনসার কোম্পানিতে নতুন প্রাণের সঞ্চার : প্রশি-ক্ষণ ও সং-স্কারে দেশসেবার অ-ঙ্গীকার ঐতিহাসিক পাকুড়িয়া গণহ-ত্যা দিবস উদযাপন প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর হা-মলার ঘটনায় গোবিপ্রবি উপাচার্যের নি-ন্দা
বড়ই চাষে সফল- ইউনুছ ভূঁইয়া

বড়ই চাষে সফল- ইউনুছ ভূঁইয়া

মোঃতরিকুল ইসলাম তরুন, কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার সবচেয়ে বড় বড়ই বাগান মুরাদনগর উপজেলার কাজিয়াতল। বিদেশ ফেরত ইউনুছ ভূঁইয়া গড়েছেন এই বাগান। তিন বছরে বিক্রি করেছেন অর্ধ কোটি টাকার বড়ই। ইউনুছ ভূঁইয়া চৌদ্দ বছর সৌদি প্রবাস জীবন শেষে দেশে আসেন ২০২০ সালে। করোনার বেকার সময়কে কাজে লাগিয়ে হয়ে উঠেন সফল উদ্যোক্তা। নীজের ১০ বিঘা জমির সাথে আরো ৫০ বিঘা পতিত জমি লিজ নেন তিনি। পুরো জায়গা জুড়ে মাছের প্রজেক্ট করে মাছ চাষ করেন। নানা প্রতিকুলতায় মাছের ব্যবসায় লোসান হয় তাকে।
তাতে ভেঙে যাননি তিনি। সফল হওয়ার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিয়ে মাছের প্রজেক্টকে ফলের বাগান বানানো কাজ শুরু করেন। তার এই কাজ দেখে মানুষ উপহাস ও ঠাট্রা -বিদ্রুপ করতে থাকেন। কারণ মাছের প্রজেক্টের ভীতর কিভাবে ফলবাগান হয় ? পানিতে সব গাছ ডুবে মরে যাবে। কেউ কেউ তাকে পাগলও বলেন। লোকের কথায় কান না দিয়ে তিনি তার কাজ করতে থাকেন। বিশ্বাস ছিল সফল হবেন। ইউটিউব ও উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় মাছের প্রজেক্টের ভীতর লাগিয়েছেন ৩ হাজার বড়ই, ৭ হাজার লেবু, ৮শ কলা গাছ, মাল্টাসহ নানা জাতের সাথী ফসল ফলিয়ে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেন । এই মূহর্তে তার বাগানে বড়ইয়ের চমৎকার ফলন রয়েছে। গাছের পাতায় পাতায় বড়ই দোলছে। বল সুন্দরী জাতের বড়ই দেখতে খুবই সুন্দর। খেতে মিষ্টি- অধিক রসালো ও পুষ্টিগুনে ভরপুর। তিন হাজার বড়ই গাছ থেকে ৩ বছরে বিক্রি করেছন প্রায় অর্ধ কোটি টাকার বেশি বড়ই।

কৃষক ইউনুছ ভূইয়া বলেন, আমি বিদেশে ছিলাম। সেখানে কৃষি খামারের তত্ত¡াবধানে কাজ করেছি। দেশে এসে কোভিডের কারনে আর বিদেশ যেতে পারি নাই। বেকার হয়ে পড়ছিলাম। অনেক ভাবনা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেই যে আর অন্যের অধীনে চাকুরী করবো না। এবার উদ্যেক্তা হয়ে নীজেই কিছু একটা করব। যেই ভাবা সেই কাজ। তাই আমার পরিত্যাক্ত ১০ বিঘা জমির সাথে আরো ৫০ বিঘা জমি লীজ নিয়ে একটি মাছের প্রজেক্ট তৈরি করি। দুই বছর পর আরো ৫ বিঘা জমি ক্রয় করেছি।

মাছের ব্যবসা ভালো না হওয়ায় প্রজেক্টের ভীতর বড়ই ও লেবুর বাগান করার সিদ্ধান্ত নেই। মাছের প্রজেক্টের মত নীচু জায়গায় ফলবাগান করছি দেখে এলাকার মানুষ আমাকে পাগল বলছে। সমালোচকদের কথায় কান না দিয়ে নাটোর থেকে আড়াই মাস বয়সী বড়ই ও লেবুর চারা এনে রোপন করি । চারা রোপনের ৩ মাস পর বাগানের প্রতিটা গাছে বড়ই আসে। প্রথম বছর প্রায় দেড় লাখ টাকার বড়ই বিক্রি করেছি। পরের বছর ৩০ লাখ, এবছর ঘুর্ণিজড় সিতরাংয়ের কারণে কম হলেও আশা করছি ২৫ লাখ টাকার বড়ই বিক্রি হবে।
একটি গাছে ৩০ থেকে ৪০ কেজি বড়ই আসে । পাইকারদের কাছে ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। বাগানে প্রতিদিন ১০ জন শ্রমিক কাজ করে। এছাড়াও বাগান নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষনিক দুইজন লোক নিয়োজিত আছে। আমার বিশ্বাস ছিল সফল হবো এবং হয়েছি।

মুরাদনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পাভেল খান পাপ্পু বলেন, কুমিল্লার সবচেয়ে বড়-বড়ই বাগান কাজিয়াতল । আমি ও উপসহকারী কর্মকতারা রীতিমত এই কৃষি প্রজেক্টটি দেখাশোনা করছি। কৃষক ইউনুছ ভূইয়ার মত যারা উদ্যোক্তা হয়ে পরিত্যাক্ত জমিতে বাগান ও কৃষি কাজ করতে চায় আমরা তাদের সর্বাত্তক সহযোগীতা দিয়ে পাশে থাকবো।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD